বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবে ৩৪ যাত্রীর মৃত্যুর মামলায় আরও সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আগামী ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
২০২০ সালের ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে পৌঁছানোর আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। এতে লঞ্চটির ৩৪ যাত্রী প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পরের দিন নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের এসআই শহিদুল আলম ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। এ বছরের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, সুকানি নাসির হোসেন মৃধা, গিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার। তাদের মধ্যে বাশার, নাসির, শাকিল, জাকির ও শিপন কারাগারে আছেন। বাকিরা জামিনে আছেন।