ছুরিকাহত হয়ে বাইকে প্রায় ৫০০ ফুট হিঁচড়ে গিয়েও ছিনতাইকারীকে ছাড়েননি কলেজছাত্র রুবায়েদ। তার সাহসিকতায় ধরা পড়ে পায়েল হোসেন (২১) নামের এক ছিনতাইকারী। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১০ নম্বর সেক্টরের স্লুইস গেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এ সময় পায়েলের কাছ থেকে একটি ছুরি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, পায়েল পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থানার মো. আলমের ছেলে। তিনি তুরাগের চাঞ্চল্যকর একটি গণধর্ষণ মামলার আসামি। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়েই তিনি ছিনতাইয়ে বেরিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে ১০ নম্বর সেক্টরের স্লুইস গেট এলাকার রাস্তায় মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন কুমিল্লার অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজেদুর রহমান রুবায়েদ। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা পায়েল তার মুঠোফোন ধরে টান দেন। কিন্তু রুবায়েদ ফোন ছাড়েননি। ধরা পড়ার আশঙ্কায় পিয়াল তার হাতে ছুরি মেরে জখম করেন। পরে ফোন ছেড়ে দিলেও দৌড়ে সেই মোটরসাইকেল ধরে ফেলেন রুবায়েদ। এ সময় মোটরসাইকেলটি রুবায়েদকে টেনেহিঁচড়ে প্রায় ৫০০ ফুট নিয়ে যায়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। পায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আহত রুবায়েদ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।