দলবদল করার সবরকম চেষ্টাই চালিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শেষ পর্যন্ত কোথাও যাওয়া হলো না তার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থেকে গেলেন তিনি। রোনালদো এবং তার এজেন্ট জর্জ মেন্ডিস ইউরোপের বড় বড় কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেও রাজি করাতে পারেননি। চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ- কেউ নিতে চায়নি রোনালদোকে।
তবে রোনালদোকে খুব করেই চেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোনালদোর জন্য খুব ভালো প্রস্তাব না এলেও তার দলবদলে বড় বাধা ছিল ইংলিশ ক্লাবটি। ক্লাবের ভাবী কোচ এরিক টেন হাগ জানান, নতুন মৌসুমে তার পরিকল্পনার অংশ রোনালদো। অথচ লিভারপুল কিংবদন্তি জেমি ক্যারেঘার বলছেন অন্যকথা।
রোনালদোর প্রতি রেড ডেভিলসদের সত্যিই কোনো আগ্রহ আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ক্যারেঘার। টিভি বিশ্লেষক ও লিভারপুল কিংবদন্তি গত বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই ভাবতাম এটা (রোনালদোর চুক্তি) একটা উদ্ভট চুক্তি। আমি আগে থেকেই ভাবছিলাম যে এমনটা একটা পরিস্থিতি আসবে, এমনকি রোনালদো দুর্দান্ত খেললেও। সেটাই হয়েছে।’
ক্যারেঘার যোগ করেন, ‘সে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছে এবং আরও এক বছর নবায়ন রাখার সুযোগ আছে। যেটা আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। তিনি কখনোই দ্বিতীয়বার খেলবেন না। কিন্তু একটা পর্যায়ে সে দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু আপনি এখন আগের জায়গায় নেই। তার ক্যারিয়ারটা এত দূর এসেছে কারণ তিনি দারুণ পেশাদার।’
গত মৌসুমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৪ গোল করেছেন রোনালদো। কিন্তু গোলসংখ্যা পর্তুগিজ যুবরাজকে বিচার করতে নারাজ লিভারপুল কিংবদন্তি। ক্যারেঘারের ভাষায়, ‘এই মৌসুমে তার বয়স ৩৭ কিংবা ৩৮। কিন্তু সে (আগের মতো) একই রকম খেলোয়াড় নয়। এই মুহূর্তে ইউরোপের কোনো ক্লাব তাকে চাইবে না। হয়তো আমার ভুল হতে পারে। আপনি যদি চেন হাগকে জিজ্ঞেস করেন, আমার মনে হয় না সে তাকে চায়। আমি নিশ্চিত নই, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ড্রেসিংরুম এখন রোনালদোকে চায় কিনা।’ ক্যারেঘারের ভাবনাটা অবশ্য একেবারেই অমূলক নয়। সেটা তো এবারের দলবদলের মৌসুমেই দেখা গেল। রোনালদোর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি ইউরোপের জায়ান্ট কোনো ক্লাব। তবে ম্যানইউকে নিয়ে তিনি যে সংশয়ের কথা শোনালেন যা কার্যত বাস্তবসম্মত নয়। সত্যি বলতে রোনালদোর বর্তমান ক্লাবই তার দলবদলে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।