এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণ হয় ব্রিজ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বর্ষার প্রবল স্রোতে ব্রিজটি রাস্তাবিহীন হয়ে যায়। দুর্ভোগ এড়াতে ব্রিজের দুই পাড়ে আবারও নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ রাস্তা। জনমনে স্বস্তি ফিরলেও এজিং ছাড়াই রাস্তা নির্মাণ করায় তাদের মনে রয়েছে শঙ্কাও। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের মধ্যেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ব্রিজটি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর ধোপাখালী ও যদুনাথপুর ইউনিয়নের বংশাই নদীর ওপর। ব্রিজের এক পাশে ধোপাখালী অন্য পাশে যদুনাথপুরের ইসলামপুর গ্রাম। মাটি থেকে প্রায় ৯-১০ ফুট উচ্চতায়।
ব্রিজের দুই পাশে সম্প্রতি করা হয়েছে সংযোগ রাস্তা। পারাপার হচ্ছে যদুনাথপুর ও ধোপাখালী ইউনিয়নের ৮-১০ গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়ন দুটি কৃষিপ্রধান। পাশের জমি থেকে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। দুপাশে এজিং না থাকায় নতুন মাটি রক্ষার্থে লাগনো হয়েছে কিছু ঘাস ও গাছ। নদীতে বর্ষা ও বৃষ্টির পানি। গত কয়েক দিনে বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটি ধসে নদীতে ধুয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে ছোট-বড় গর্ত। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও স্থানীয়রা।
ইসলামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি নির্মাণের বছরই বর্ষার প্রবল স্রোতে সংযোগ রাস্তা বিলীন হয়ে যায়। দুর্ভোগ নামে এলাকাবাসীর। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসে। ১৪-১৫ দিন আগে আবারও সংযোগ রাস্তাটি করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার দুই পাশে এবারও এজিং নেই। এখনই বৃষ্টিতে মাটি নদীতে চলে যাচ্ছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, এ ব্রিজের সংযোগ রাস্তা করতে এডিপির বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ টাকা। স্থানীয় এসকে এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করেছে।
ধোপাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসীর দাবিতে রাস্তাটি করা হয়েছে। তবে ভারি বৃষ্টি ও বর্ষা এলে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। এখানে বড় ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নান আবেদীন বলেন, ‘ব্রিজটি পরিদর্শন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এডিপির বরাদ্দ পেয়ে সংযোগ রাস্তা করা হয়েছে।’