ভাগ্য বদলাতে ২০ বছর আগে সৌদি আরব যান মুহাম্মদ আবুল আল হাসান প্রকাশ ইউসুফ। ভালো বেতনে কাজ পান সৌদির একটি কোম্পানিতে। কিন্তু হঠাৎ বন্ধ করে দেন পরিবারের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ। এতে চিন্তায় পড়ে যান স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা। অনেক দিন পর খোঁজ মেলে ইউসুফের। ব্রেইন স্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় আসেন ইউসুফ। কিন্তু বাসায় ফিরে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। র্দীঘ ৮ মাস ধরে দেশটির মক্কা নগরীর মিসফালাহর ইব্রাহিম খলিল রোডের একটি বাসায় বিছানাগত হয়ে আছেন তিনি। শরীরের নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। কথা বলতে পারছেন না। যোগাযোগ করতে পারছে না পরিবারের সঙ্গে। ইশারায় শুধু বাড়ি ফিরতে চান অসুস্থ এই প্রবাসী।
ইউসুফের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে নিয়মিত খোঁজখবর ও দেখাশোনা করেছেন প্রতিবেশী নাজিম উদ্দীন। নিজের বাবার মতো সেবা দিচ্ছেন তাকে।
প্রবাসী নাজিম উদ্দীন জানান, ‘আমি ৮ মাস ধরে ইউচুফ ভাইয়ের সেবা যত্ন নিচ্ছি। তাকে দ্রুত দেশে পাঠানো দরকার। তাই সকল প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
নাজিম উদ্দীন আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে রিযাদ-বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দা-বাংলাদেশ কনসুলেটে ইউচুফের পাসপোর্টসহ কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত দেশে যেতে পারবেন তিনি।’
অসুস্থ প্রবাসী আবুল আল হাসান ইউসুফের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামে। বাড়ি রয়েছেন স্ত্রী ও চার মেয়ে।
এদিকে, কীভাবে তিনি দেশে ফিরবেন। নাকি সৌদিতেই তার মৃত্যু হবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবার। ইউসুফকে দেশে আনতে কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তার স্ত্রী ও সন্তানরা। বাবাকে দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছেন ইসুফের সন্তানরা।
অসহায় এই পরিবারটি আর্থিক সামর্থ্য নেই ইউসুফকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার। তাই সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার।