পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ‘সীমা লঙ্ঘনের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন। বিচারককে দেখে নেওয়ার যে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি, সেই আদালত অবমাননার মামলায় বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শুনানি শুরুর সময় তিনি ক্ষমা চান। খবর জিও নিউজের।
ইমরান খান বলেছেন, ‘আমি যদি কোনো সীমা অতিক্রম করে থাকি তা হলে ক্ষমাপ্রার্থী। এমন আর আবার হবে না। আমি কখনই আদালতের অনুভূতিকে আঘাত করতে চাইনি।’ এ সময় তিনি আদালতকে অনুরোধ করেন তাকে যেন বিচারক জবা চৌধুরীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারক আতহার মিনাল্লাহ বলেন, ‘আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেবেন না।’ ইমরান খান তার বক্তব্যের একটি এফিডেভিট আদালতে জমা দেন। এই নিয়ে মিনাল্লাহ বলেছেন, ‘আদালত আপনার বিবৃতি মূল্যায়ন করে। আপনি আপনার বিবৃতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।’ সহকর্মী শাহবাজ গিলকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন চালানো হয়েছে এই অভিযোগে ২০ অক্টোবর এক সমাবেশের আয়োজন করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি শাজবাজের ওপর নির্যাতনের জন্য ইসলামাবাদ ইনস্পেক্টর-জেনারেল এবং ডেপুটি ইনস্পেক্টর-জেনারেলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। হুশিয়ারি দেন এক বিচারক জবা চৌধুরীকে। এরপরই ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়।