advertisement
advertisement
advertisement

লংমার্চে ফিরলেন ইমরান

হামলার আশঙ্কা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ নভেম্বর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫৪ এএম
পাকিস্তানের বিরোধী নেতা ইমরান খান সমাবেশে যোগ দেবেন। তাই আগে থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে বুলেটপ্রুফ কাচ বসিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে -এএফপি
advertisement

পাকিস্তানে গতকাল সকাল থেকেই ছিল চাপা উত্তেজনা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাড়তি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এর কারণ একটিই পিটিআই নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান লংমার্চে যোগ দিচ্ছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এটিই তার প্রথম লংমার্চে যোগ দেওয়া। অবশেষে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে সমাবেশে যোগ দেন ইমরান। খবর ডন।

এদিকে পাকিস্তানের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইমরানকে লংমার্চ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইমরান সেই আহ্বানে কান দেননি। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। যদিও এমন ঘোষণা আগে থেকেই ছিল। এদিকে গতকাল রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ ২৮ দফা নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শ দিয়েছে।

advertisement

এদিকে ইমরান খান সমাবেশে যোগ দেওয়ার পর পাকিস্তানে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দেশটির সরকার শুরু থেকেই এ ধরনের গণসমাবেশ আটকানোর চেষ্টা করেছিল। এমনকি এ জন্য আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল সরকার। তবে আদালত সরকারের পক্ষে রায় দেননি। এদিকে ইমরানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডি থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে রাজধানী ইসলামাবাদের ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। এমন শঙ্কা থেকে ইসলামাবাদের সরকারি অফিস ও কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সরকার। এ ছাড়া ইসলামাবাদের প্রবেশদ্বারে কনটেইনার দিয়ে রাখা হয়েছে।

ইমরান খান সমাবেশে যোগ দেবেন এমন তথ্য প্রকাশের পর পিটিআইয়ের কর্মীরা দলে দলে রাওয়ালপিন্ডি আসছেন বলে দাবি করেছে পিটিআই। তারা টুইটারে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, মানুষ মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে করে পিন্ডির দিকে যাচ্ছেন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মজহার আব্বাস বলেছেন রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছে। এতে পিটিআইয়ের ভোটের সূচক ওপরের দিকে উঠবে। তিনি আরও বলেন, এখানে সমগতকরা কেউ নিশ্চিত নয় যে পিটিআই নেতা পদযাত্রা প্রত্যাহার করবেন নাকি অবস্থানের ঘোষণা দেবেন। তার পরও তারা আসছেন।

advertisement

এর জবাবে ইমরান বলেন, নিশানা আমি, জনগণ নয়। বোমা হামলা হওয়ার মতো কিছু ঘটবে না। তারা আমাকে নিশানা করতে চায়। সুতরাং আমি পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি উদ্বিগ্ন নই।

উল্লেখ্য, লংমার্চ শুরুর পর ৩ নভেম্বর র‌্যালিতে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান খান। সেই হামলায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু তিনি এ হত্যাচেষ্টার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও একজন সেনা কর্মকর্তাকে দায়ী করেন।