‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পলাশবাড়ী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের অনুকূলে তৈরি হচ্ছে ১২ বীর নিবাস। উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১২ জনের নামে বীর নিবাস বরাদ্দ দেয় সরকার। বীর নিবাসের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিরাত ট্রেডার্সের বাস্তবায়নে বরাদ্দকৃত প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধা-পরিবারের বিপরীতে তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, একটি রান্নাঘরসহ একটি বারান্দা। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা। মোট নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ এক কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা। কাজগুলো সঠিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
তারা হলেনÑ পলাশবাড়ী পৌরশহরের বাঁশকাটা গ্রামের আবদুল ওয়াদুদ মণ্ডল, মহদীপুর ইউপির ছোট ভগবানপুর গ্রামের মুক্তা রানী বেগম, বেতকাপা ইউপির নান্দিশহর গ্রামের পোশাগী বেগম ও লাইলী বেগম, পবনাপুর ইউপির পূর্ব গোপিনাথপুর গ্রামের রোকেয়া বেগম এবং বরকতপুর গ্রামের নুরুনবী সরদার, মনোহরপুর ইউপির ঘোড়াবান্ধা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার, পুটিমারী গ্রামের নুরুল আমিন, হরিণাথপুর ইউপির হরিণাবাড়ী গ্রামের মজিদা বেগম এবং ঘোড়াবান্ধা গ্রামের আব্দুস ছালাম খন্দকার, তালুকজামিরা গ্রামের জিন্নুর মিয়া ও আব্দুল হান্নান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ উপজেলায় বরাদ্দকৃত বীর নিবাস নির্মাণকাজসমূহ চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা গুরুত্বসহকারে যথাযথভাবে তদারকি করছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বলেন, নির্মাণকাজ নিশ্চিত করতে ইউএনওসহ আমি এবং কমিটির সদস্যরা তদারকি করছি।