বরিশালের তিন উপজেলায় একই রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার উজিরপুর, হিজলা ও বাবুগঞ্জে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনটি উপজেলার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। মামলায় উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৪৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ঈশ্বরচন্দ্র নারায়ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ থানার টহল পুলিশের একটি দল ওই বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে তল্লাশি করে। পরে মাঠ থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক হান্নান মিয়া বাদী হয়ে রাতেই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইসরাত হোসেন কচি তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ৫৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেন। একই রাতে জেলার উজিরপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান জানান, উপজেলার সানুহার-ধামুরা সড়কের খোলনা ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সামনে বৃহস্পতিবার রাতে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনায় রাতেই থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ৫৪ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন।
শুক্রবার এই মামলায় সোহান হোসেন ঢালী ও রাজীব মজুমদার নামে দুই বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সোহান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েলের বড় ভাই।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য রাতের আধারে ককটেল বিস্ফোরন ঘটানো হয়েছে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিস্ফোরিত এবং অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতেই যারা জড়িত তাদের আসামি করা হয়েছে। কাউকে এই মামলায় অহেতুক হয়রানি করা হবে না বলে জানান পুলিশ সুপার।