advertisement
advertisement
advertisement

কার্যালয়ে বোমা
বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০০ এএম | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:১৪ পিএম
advertisement

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দলের কার্যালয়ে বোমা রেখে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির সন্ত্রাসী পরিকল্পনারই প্রমাণ। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

advertisement

গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিএনপি অফিস থেকে ১৫টি তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, ১৬০ বস্তা চাল, রান্না করা খিচুড়ি, হাঁড়ি-পাতিল এবং দুই লাখ নগদ টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের

advertisement

ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনিভাবে যখন সমাবেশ করা হয়, তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটি তো সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।’ তিনি বলেন, সরকার সহায়তা না করলে বিএনপির পক্ষে কখনো দেশের নয়টি জায়গায় বড় সমাবেশ করা সম্ভব হতো না।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না।’ তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টাসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা ও প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছিল। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাসহ শতশত মানুষকে আহত করা হয়েছিল। অথচ ১৪ বছর যাবৎ আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘেœ সমাবেশ করেছে।’

মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তার প্রশ্নে হাছান মাহমুদ ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ করার মামলায় এ দুজনকে হুকুমদাতা আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করা হলো, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেল। চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ সারা দেশে গাড়িতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা হলো। এগুলোর হুকুমদাতাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ও মির্জা আব্বাস। তাদের নেতৃত্বে এগুলো হয়েছে। আর তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকে, তখন তারা সবাই তো অপরাধী। তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসেছিল? এসব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।’

লন্ডন থেকে তারেক রহমান বিশৃঙ্খলা ঘটাতে উসকানি দিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী কর্মকা-, বিশেষ করে যে নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে- এটি তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা করেছে। বিএনপির অনেক নেতা শুরু থেকেই রাজি ছিল, এমনকি পুলিশের সঙ্গে প্রথম দুটি বৈঠকে বিএনপিই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানের নির্দেশেই তারা বিগড়ে বসে। মিরপুরে পল্লবী, কালসী মাঠ, এজতেমার ময়দান, বাণিজ্যমেলার মাঠসহ চার-পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাবও তারা উপেক্ষা করে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার দ-প্রাপ্ত আসামি এবং খুন, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ের আসামি। একজন আসামির নেতৃত্বে যখন দল পরিচালিত হয়, সেই দল অপরাধী-আসামি-সন্ত্রাসীর মতোই আচরণ করবে, বিএনপিতে তাই ঘটছে।