যৌন হয়রানির কারণে অভিযুক্ত দানি আলভেসকে অন্য জেলে পাঠানো হয়েছে। স্পেনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, মূলত নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সরাসরি এমনটি স্বীকার করছে তা দেশটির পুলিশ। তবে তাদের দাবি, যে জেলে রাখা হয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলারকে, সেটি বিপজ্জনক। বেশি দিন সেখানে রাখা হলে প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকতে পারে।
আলভেস যেই জেলে ছিলেন সেখানে ২০০’র বেশি বন্দী ছিল। তবে এদের বেশির ভাগই হিংসাত্মক অপরাধের জেরে বন্দী। জানা যায়, জেলের মধ্যে বন্দিদের মারপিটও লেগে থাকত। ইতোমধ্যে সেই জেলে তিন রাত কাটিয়েছেন আলভেস।
আলভেসকে সোমবার রাতের দিকে এমন একটি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেটি আয়তনে ছোট। যেখানে বন্দিরা থাকেন, তার ঘরগুলি ছোট ছোট। ৮০-র বেশি বন্দী নেই। যারা রয়েছে, তারাও তুলনায় নিরাপদ। তা ছাড়া, জেলের আয়তনও ছোট। ফলে আলভেসকে নজরে রাখতে সমস্যা হবে না।
এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আলভেস কী ধরনের অপরাধ করেছেন সেটা স্থানান্তর করার সময় মাথায় রাখা হয়নি। স্রেফ নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্দী হিসাবে আলভেস তার জনপ্রিয়তার কারণেই বাকিদের থেকে আলাদা। ফলে স্পেনের পুলিশ কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
এরমাঝেই জানা গিয়েছে, আলভেসের পরিবার আইনজীবীদের বদলানোর কথা ভাবছে। আলভেসকে দ্রুত জেল থেকে বার করে এনে নির্দোষ প্রমাণ করাই তাদের লক্ষ্য।
এর আগে গত শুক্রবার আলভেসকে বার্সেলোনার একটি পুলিশ স্টেশনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। আলভেস সেখানে আসার পরে তাকে জেরা করেছিল পুলিশ। তার পরে বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুক্রবারই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাকে। বিচারক তাকে জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন।
জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল ফুটবলারের বিরুদ্ধে। আলভেসের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালতের আশঙ্কা ছিল, এক বার ছাড়া পেলে পালিয়ে যেতে পারেন আলভেস। তাই তাকে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল।
গত ২ জানুয়ারি বার্সেলোনার একটি থানায় আলভেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক তরুণী। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের শেষ দিনে বার্সেলোনার একটি পানশালায় আলভেসের সঙ্গে তার পরিচয়। সেখানেই শৌচাগারে আলভেস তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তরুণী জানিয়েছেন, জোর করে তার অন্তর্বাসের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দেন আলভেস। কোনো রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
মেক্সিকোর পুমাস ক্লাবে খেলতেন আলভেস। তার জেলের সাজা হওয়ার পরে ক্লাব তাকে ছাঁটাই করে দিয়েছে। পুমাস জানিয়েছে, আলভেসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার পরে তাকে ক্লাবে রাখা যায় না।