রাজশাহীর পুঠিয়া ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে পুঠিয়ায় গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন দফায় সংঘর্ষ চলে। অন্যদিকে সোনারগাঁওয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় কর্মী সম্মেলন স্থগিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। গতকাল বিকালে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাহীনগর মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুঠিয়ার বানেশ্বরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে কয়েকজন বক্তব্য দেন। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় খুঁটিপাড়া এলাকার সাহাবুদ্দিন ও নামাজগ্রাম এলাকার ডিস কালাম গ্রুপের মধ্যে তিন দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী বলেন, কয়েক দফায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা সভাপতি প্রার্থী নাসিরউদ্দিন মেম্বারকে নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে সম্মেলন স্থলে উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নাসির মেম্বার ও আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার,
সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে উপজেলা নেতারা সম্মেলন স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সংঘর্ষে ইউনিয়ন যুবলীগসহ সভাপতি জলিল, আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুজ্জামান, রুহুল আমিন, জান্নাত, রিফাত, আরমান, আল আমিন ও আক্তার হোসেনসহ ২৫ জন আহত হন।
সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কর্মী সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমরা সম্মেলন স্থগিত করেছি।
সোনারগাঁও থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।