আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ কোটি টাকার বাড়ি থাকার অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে লিখিতভাবে এ অভিযোগ জানান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সায়েদুল হক সুমন সংবাদকর্মীদের বলেন, মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের নিউইয়র্কে ৯টি সম্পদ আছে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তিনি নিজেও এর সত্যতা পেয়েছেন।
দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার সুমন ‘অভিযোগ আমার হাতে দেননি, কমিশনে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ কমিশনের তফসিলভুক্ত কিনা, তা দেখবে বাছাই কমিটি। তফসিভুক্ত হলে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’ দুদকে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিষয়ে আমি
একটা ভিডিও করেছি। ‘অরগানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একটি প্রকল্প। সেখানে বলা হয়েছে- আবদুস সোবহান গোলাপ ২০১৪-১৫ সালে যখন এমপি ছিলেন, তখন তিনি কী পরিমাণ দেশসেবা করেছেন যে, সেবা করতে করতে নিউইয়র্কে ৯টা প্রপার্টিজ করেছেন। যেগুলো তার নিজের নামে আছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
তিনি বলেন, ‘তিনি (গোলাপ) শপথ নেওয়ার ৭ মাস পর আমেরিকান সিটিজেনশিপ ত্যাগ করেছেন। অথচ আমাদের সংবিধানে আছে, আপনার যদি বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে, তাহলে কোনোভাবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। এ বিষয় নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে। আমি এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম, দুদক এ রকম একটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিষয়ে নিজে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা। যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেনি, তাই আমি নিজে আজ দুদক বরাবর অভিযোগ করে গেলাম।’