advertisement
advertisement
advertisement

সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ মার্চ ২০২৩ ১০:২৩ এএম | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম
সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত
advertisement

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ও পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করে। এর আগে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলোক স্বল্পতার কারণে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের টিম। উদ্ধারকাজে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিভিন্ন কর্মীরাও সহায়তা করে করছেন।

advertisement

তিনি আরও বলেন, এটি একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট। হাজার হাজার অক্সিজেনের বোতল ছড়িয়ে আছে কারখানার চারপাশে। তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬

advertisement

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের উৎপত্তি যেভাবে

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এত কিছুর পরও কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে মালিকপক্ষের কেউ সহায়তা করেনি। তথ্য দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলেও তাদের কেউ আসেননি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তবে তদন্ত শেষে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা যাবে।

আরও পড়ুন-সহায়তা দূরে থাক, ঘটনাস্থলেও যায়নি মালিকপক্ষের কেউ

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।