পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পলাতক রয়েছে মাহির স্বামী রকিব সরকার।
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলে আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে। তবে তার সঙ্গে মামাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি দৈনিক আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেন গাজীপুরের উপপুলিশ কমিশনার আবু তোরাফ শামসুর রহমান।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাহি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাহি ও তার মামা।
মাহির মামা দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আর মাহি দেশে এসেছি। বিমানবন্দরে নামার পরপরই গাজীপুর থানা পুলিশ মাহিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় মাহি তার পরিবার ও সাংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘‘আমাকে পুলিশ বলেছে, ‘আপনি আপনার লাগেজ নিয়ে চলে যান, কোনো কথা বাড়াবেন না।’ আমি বারবার অনুরোধ করেছি, মাহির শরীর ভালো না। তারপরও তারা কোনো কথা শোনেনি। মাহিকে কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগও দেয়নি তারা।’’
আরও পড়ুন: যে কারণে মাহির রিমান্ড চাইল না পুলিশ
এর আগে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে স্বামী রকিব সরকারের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মাহিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ব্রিফিং, যা বললেন মোল্যা নজরুল
ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহি। এছাড়া ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া মারধর, ভাঙচুর, চাঁদা দাবি ও জমি দখলের অভিযোগ এনে মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এ মামলায় ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।