advertisement
advertisement
advertisement

আওয়ামী লীগ সরকারের মূলনীতি, টাকা পাচার আর দুর্নীতি: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৫ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ১২:২৮ এএম
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরা
advertisement

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মূলনীতি, টাকা পাচার আর দুর্নীতি। বাংলাদেশে গত প্রায় দেড় দশক ধরে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আশ্চর্য সব কাণ্ড ঘটে চলেছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরের দুর্নীতির খণ্ডচিত্র তুলে ধরে আজ শনিবার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম এবং টিআইবির প্রকাশিত সরকারের দুর্নীতির প্রতিবেদনকে উদ্ধৃতি করে ১২ পৃষ্ঠার ‘টকিং পয়েন্ট’ সমাবেশে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং সরকার পদত্যাগ’সহ ১০ দফা দাবিতে মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

advertisement

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বালিশ, পর্দা, ঢেউটিন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাসিনো কাণ্ড, ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ার বাজার লুট, অর্থ পাচার, মেগা প্রজেক্টে মেগা কেলেংকারি একটার পর একটা ঘটে চলছেই। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ভাষায় বাংলাদেশে ‘‘সাগর চুরি’’ চলেছে।’  

তিনি বলেন, ‘ভারতে একটা স্লোগান ছিল, ‘‘অলি-গলি ম্যায় শোর হ্যায়, অমুক নেতা চোর হ্যায়’’, নাম বললাম না। আজকে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘আওয়ামী লীগ ভোট চোরের মূলনীতি, টাকা পাচার আর দুর্নীতি।’’ আওয়ামী লীগের দুর্নীতি গোটা বাংলাদেশকে একটা ফোকলা অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এরা ভোট চোর, অর্থনীতির চোর। এদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

advertisement

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব দলের একটি নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনে একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট হবে, একটি জনপ্রতিনিধির সরকার হবে। তারাই দেশ চালাবে।’

 ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রকিবুল ইসলাম বকুল, নাসির উদ্দিন অসীম, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, রাজীব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের হেলাল খান, ড্যাবের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।