advertisement
advertisement
advertisement

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগটি সময়োচিত: ড. আতিউর রহমান

সাক্ষাৎকার

এমিলিয়া খানম ও রণজিৎ সরকার
১৯ মার্চ ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৮ এএম
advertisement

বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫’- যা ২০১৩ সালে একবার সংশোধিত হয়েছে। তা আবারও সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বলা হচ্ছে, তামাকমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জনে এই আইন শক্তিশালীকরণ দরকার। আবার কেউ বলছেন, এই আইন শক্তিশালী করলে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশে তামাকবিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমিলিয়া খানম ও রণজিৎ সরকার

আমাদের সময় : ‘ধূমাপন ও তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত)’ আবারও সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের দরকার হচ্ছে কেন?

advertisement

আতিউর রহমান : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছিলেন যে, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবেন। সেখানে তিনি তামাকের ওপর কর কাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রাধিকারের সাথে মিল রেখে আমাদের ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’-এর ভিশন বাস্তবায়ন করতেই এ আইনকে শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে এবং এর সুফল ভোগ করবে দেশ।

আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বিষয়টি উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ০৭ অনুসারে কোনো পাবলিক প্লেস বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কর্তৃপক্ষ চাইলে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থানÑ যাকে বলে ‘ডেজিগনেটেড স্মোকিং এরিয়া (ডিএসএ)’-এর ব্যবস্থা রাখতে পারেন। কিন্তু সংশোধনীর প্রস্তাবে এই সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। ডিএসএ থাকার কারণে অধূমপায়ীরাও তামাকের ধোঁয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সংশোধনী বাস্তবায়ন হলে তা হবে না। বিভিন্ন দেশে পরিচালিত জরিপ থেকে দেখা গেছে, এমন করা গেলে পাবলিক প্লেস ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারকারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ কমতে পারে। এসব বিবেচনা থেকেই নেপাল, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ৬৯টি দেশে ডিএসএ বাতিল করা হয়েছে।

advertisement

আমাদের সময় : আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনীতে নতুন কী কী থাকছে এবং এই নতুন সংযোজনগুলো কেন জরুরি বলে মনে করেন?

আতিউর রহমান : প্রধানত ছয়টি বিষয় থাকছে। এগুলো হলো ১. ডিএসএ বাতিল, ২. বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধ, ৩. তামাক কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, ৪. সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, ৫. সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট/বিড়ি বিক্রি বন্ধ এবং ৬. ই-সিগারেট নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশে যারা দীর্ঘকাল ধরে তামাকবিরোধী নাগরিক আন্দোলন করে আসছেন, তাদের দাবিগুলো এই নতুন সংযোজনগুলোয় যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই ১৫৫ সংসদ সদস্যসহ ২০ হাজারেরও বেশি নাগরিক ও সংগঠন এই সংশোধনীর প্রস্তাবে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।

প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রতিটি নতুন সংযোজনই দেশে তামাক ব্যবহার হ্রাস ও কিশোর-তরুণদের তামাক ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত রাখতে সহায়ক হবে। তবে এর মধ্যেও আলাদা করে বলতে চাই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবনাটি নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো হয়তো ই-সিগারেট ওইভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে, ২০১১ থেকে ২০২০ সময়কালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়াদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ১.৫ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। কাজেই বাংলাদেশেও এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে ই-সিগারেট ব্যবহারকারী তরুণের সংখ্যা খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩২ দেশে ইতোমধ্যেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আমাদের সময় : তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরও শক্তিশালী করলে তাতে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে এ খাতে যুক্ত শ্রমিক এবং এ খাত থেকে আসা রাজস্ব আয়ের প্রেক্ষাপটে তারা এ ধরনের দাবি করে থাকেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

আতিউর রহমান : স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা বা অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবতা সম্পর্কে অতটা অবহিত না থাকার কারণে অনেকে এ ধরনের প্রচারণা করছেন কিংবা এমন প্রচারণায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন। মনে রাখা চাই যে, এই আইন শক্তিশালীকরণের মূল লক্ষ্য যারা ধূমপান করেন না, তাদের পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা করা এবং যারা কিশোর-তরুণ; তারা যেন ধূমপানে আগ্রহী না হয়, সেটি নিশ্চিত করা। যেমন ডিএসএ বাতিল করলে পরোক্ষ ধূমপান থেকে বহুলাংশে রক্ষা পাওয়া যাবে। আবার সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট/বিড়ি বিক্রি বন্ধ করলে যাদের বয়স কম বা আয় কম, তারা সিগারেট/বিড়ি কিনতে কম পারবেন। আর এ খাতে যুক্ত শ্রমিকদেরও তাৎক্ষণিকভাবে কাজ হারানোর আশঙ্কাও খুব অল্প। দীর্ঘমেয়াদে তাদের অন্য পেশায় চলে যাওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই। বাংলাদেশের মতো ‘বুমিং’ অর্থনীতিতে এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নতুন কাজের ব্যবস্থা করতে খুব বেগ পেতে হবে বলে মনে হয় না।

আমাদের শিল্প খাতে মোট শ্রমিক ১ কোটি ২৩ লাখ। বিড়ি-সিাগরেটশিল্পে যুক্ত মোট শ্রমিকের সংখ্যা এর ১ শতাংশও নয়। এর পর আসে তামাক চাষে যারা যুক্ত, তাদের কথা। আমরা মনে করি, তামাক চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষিজীবীদের সংখ্যা কমলেই তো ভালো। কারণ চাষযোগ্য জমি প্রতিবছর কমে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে মূল্যবান চাষযোগ্য জমি তামাক চাষে বিনিয়োজিত না করাই বিবেচকের কাজ হবে।

যেটা ভুলে গেলে চলবে না, সেটি হলো প্রগতির চাকা সামনের দিকেই ঘোরে। এই যে পদ্মা সেতু তৈরি হলো, তাতে আগে যারা নদী পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের অনেকে কাজ হারিয়েছেন। কিন্তু তাতে তো পদ্মা সেতু নির্মাণকে আমরা ভুল সিদ্ধান্ত বলতে পারি না। কারণ অনেকের কাজ হারানোর পরও এই সেতুর সার্বিক ফল তো বহুগুণ বেশি ইতিবাচক। তামাক খাতের ওপর আরও জোরালো নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এ রকমই।

অন্যদিকে অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, এই আইন শক্তিশালীকরণের ফলে তামাক পণ্য বিক্রি থেকে আসা রাজস্ব কমে যেতে পারে। এই আশঙ্কাও অমূলক; বরং আমাদের গবেষক দল ইতোমধ্যেই বহুবার দেখিয়েছেন যে, তামাক পণ্যের কর অল্প অল্প করে না বাড়িয়ে এক ধাক্কায় বেশি করে বৃদ্ধি করা গেলে তামাক ব্যবহার কমলেও তামাক পণ্য থেকে আসা রাজস্ব কমার বদলে বাড়বে।

আমাদের সময় : প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর কী ধরনের ইতিবাচক প্রভাব আশা করা যায়?

আতিউর রহমান : হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমার বাস্তব পরিসংখ্যান তো শুরুতেই দিলাম। ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা গেলে জনস্বাস্থ্যকে বড় হুমকি থেকে যে আগেভাগেই রক্ষা করা যাবে, সেটিও বলেছি। সিঙ্গেল স্টিক বিক্রি বন্ধ করা গেলে কম বয়সী ও কম আয়ের মানুষ পুরো প্যাকেট সিগারেট/বিড়ি কিনতে পারবেন না। ফলে মোট হিসাবে দেশে সিগারেট/বিড়ি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করবে।

অন্যদিকে বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্য আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন বন্ধের প্রস্তাবিত বিধানটিও বিশেষ উপকারী বলে মনে করি। অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেছে- যারা সিগারেট ব্যবহার করা একবার ছেড়ে দিয়েছেন; তাদের ৪০ শতাংশই বলছেন যে, সিগারেটের এমন আকর্ষণীয় উপস্থাপনের কারণে তাদের মধ্যে আবার সিগারেট ব্যবহার করার আগ্রহ তৈরি হয় এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ শেষমেশ আবার সিগারেট ব্যবহার শুরুও করে দেন।

আমাদের সময় : দেশে তামাক পণ্য ব্যবহার কমিয়ে আনতে আইন শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া দরকার?

আতিউর রহমান : এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হবে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের কথা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালেই তামাক পণ্যে কর কাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবছর অল্প করে তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় এর চেয়ে বেশি বেগে বাড়ছে। ফলে প্রতিবছর কর ও বিক্রিমূল্য বাড়লেও তামাক পণ্যের ব্যবহার ওই অর্থে কমছে না। তাই আমরা কার্যকর করারোপের ওপর জোর দিচ্ছি। অর্থাৎ এক ধাক্কায় অনেকখানি দাম বৃদ্ধির পথে হাঁটাকেই সঠিক মনে করছি। এ ছাড়া প্রচলিত শতাংশ হিসাবে সম্পূরক শুল্কের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করছি।

অল্প অল্প করে তামাক পণ্যের ঘোষিত খুচরামূল্য বাজেটে বৃদ্ধির ফলে সরকার আসলে রাজস্ব হারাচ্ছে। যেমন চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের যে খুচরামূল্য ঘোষণা করা হয়েছে, বাজারে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সিগারেটগুলো। অথচ সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট দেওয়া হচ্ছে বাজেটে ঘোষিত কম দাম অনুসারেই। আমাদের হিসাব বলছে, এ জন্য এই বছর সরকার তার প্রাপ্যর চেয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব পাবে সিগারেট বিক্রি থেকে।

অন্যদিকে কর আরোপ ছাড়াও সিগারেট বা অন্য তামাক পণ্য ব্যবহার যারা ছেড়ে দিতে চান, তাদের কাউন্সেলিং সার্ভিসও দেওয়া দরকার। এটাকে বলে ঞড়নধপপড় পবংংধঃরড়হ পড়ঁহংবষষরহম ংবৎারপব। আমাদের দেশে কোথাও কোথাও ছোট আকারে এই সার্ভিস হয়তো দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এর ব্যপ্তি আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করা দরকার। তামাক পণ্য বিক্রি থেকে সরকার যে ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করছে, ওই অর্থ দিয়েই এ কাজটি শুরু করা যায়।

আমাদের সময় : বর্তমানে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিও একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ কিংবা তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য নেওয়া অন্য উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কতটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে?

আতিউর রহমান : মনে রাখতে হবে যে, তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার প্রাণ হারাচ্ছি আমরা। অর্থাৎ দৈনিক ৪৫০ জনের মতো মারা যাচ্ছেন। আর রোগে আক্রান্ত হয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যহানির শিকার হচ্ছেন আরও অনেকে। এটি ব্যাপক ক্ষতি যে কোনো সময়ের বিচারে। তামাকজনিত কারণে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের যে ব্যয় হয়, তা তামাক পণ্য থেকে আসা রাজস্বের চেয়ে অন্তত ৩৫ শতাংশ বেশি। কাজেই তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রাজস্ব কমে যাবে এমন ভাবনা আসলেই অযৌক্তিক; বরং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি যে মানুষ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের মতো ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার যত দ্রুত, যত বেশি সম্ভব কমানোটাই নীতি-মনোযোগের বিষয় হওয়া দরকার।

সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন সবাই ভাবছেন। এ অবস্থায় আমদানি যতটা সম্ভব কমানোই আমাদের লক্ষ্য। তাই আমাদের দেখতে হবে সিগারেট উৎপাদনের ইনপুটস আমদানি করতে গিয়ে আমরা কত ডলার খরচ করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও গবেষণা আমাদের নেই। তবে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি, সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে গত অর্থবছরে (অর্থাৎ ২০২১-২২) কেবল সিগারেট পেপার আমদানি বাবদই আমাদের ব্যয় করতে হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলার।

আমাদের সময় : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

আতিউর রহমান : আপনাদেরও ধন্যবাদ