মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সুইটি (২০) নামের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীও রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত এই বাসে করেই মেয়ে সুইটিকে নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন মাসুদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
দুর্ঘটনায় মাসুদ মিয়া নিজেও আহত হয়েছেন। তাকে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়েই মেয়ের জন্য কাঁদছেন এই বাবা।
আহত মাসুদ মিয়া বলেন, সুইটি নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে করে তিনি ঢাকা যাচ্ছিলেন। রোববার ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন তারা। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি জানান, সুইটি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। ঢাকার মিরপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সকালে মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৭
মাসুদ মিয়া জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন। এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
জানা গেছে, রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজন মারা যান।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ‘দুর্ঘটনায় ঢাবিপড়ুয়া মেয়েকে হারিয়ে হাসপাতালের বেডে কাঁদছেন বাবা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে সুইটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন। অসচেতনাবশত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।