মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শিবচরে বাস দুর্ঘটনার কারণ জানাল পুলিশ
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জের বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহমেদ (৪০), একই জেলার মাসুদ হোসেরন মেয়ে সুইটি আক্তার (২৫), গোপালগঞ্জ জেলার ইসমাইল হোসেন (৫৫), একই জেলার তৈয়ব আলীর ছেলে মো. হেমায়েত হোসেন (৩০), নড়াইলের বকুল শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার (৪০), গোপালগঞ্জের নওশের আলী শেখের ছেলে সমীর শেখ (২০), একই জায়গার কাঞ্চন শেখের ছেলে কাদির শেখ (৪০) ও একই জেলার অনাথি নাথ মণ্ডল (২৫)।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ঢাবিপড়ুয়া মেয়েকে হারিয়ে হাসপাতালের বেডে কাঁদছেন বাবা
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খুলনা থেকে যাত্রীবাহী ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নিচে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও চারজন মারা যান।
আরও পড়ুন: ‘বাস উল্টে যাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।