advertisement
advertisement
advertisement

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়লেন ১০০০ পর্যটক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৬ পিএম
প্রতীকী ছবি
advertisement

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে করে গতকাল শনিবার সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে আসা অন্তত এক হাজার পর্যটক ফিরতে পারবেন না। তাদের আরও এক দিন দ্বীপে থাকতে হবে।

আজ রোববার দুপুরে জাহাজ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজামান।

advertisement

ইউএনও বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘ভ্রমণে আসা দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’

advertisement

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ভোর থেকে টেকনাফে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয় এবং আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। এ কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। দুর্ঘটরা এড়াতে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের সৈকতে নামানোর বিষয়ে মাইকিং করে সর্তক করা হচ্ছে। 

জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজার-টেকনাফ দমদমিদয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে করে দুই থেকে তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ভ্রমণে আসা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হাজারো পর্যটক অবস্থান করছেন। তারা সবাই আজকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের আজকেও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দ্বীপে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। তবুও পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে গোসল করতে না নামেন, এ বিষয়ে বিচ কর্মীদের মাধ্যমে পর্যটকদের সর্তক করা হচ্ছে।’

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে আসা ঢাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিজ বলেন, ‘পরিবার নিয়ে দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছি। শুধু আমি নই, বেড়াতে এসে অনেকেই আটকা পড়েছেন। সমুদ্র উত্তালের কারণে কোনো জাহাজ দ্বীপে আসবে না বলে শুনেছি। ফলে আমাদের আরও এক দিন দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।’ 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল এই রুটে ছয়টি জাহাজে করে হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে আসে। তাদের আজকে ফেরা হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফের জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, সাগর উত্তাল এবং দুই নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণে গিয়ে দ্বীপে থেকে যাওয়া প্রায় এক হাজারের মতো পর্যটক আটকা রয়েছেন। তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে রয়েছেন। সাগর স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।