মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় মুক্তিপণ না দেওয়ায় তানিশা (৬) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তানিশাকে অপহরণের পর অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশুটিকে হত্যা করে বাড়ির পাশে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তানিশাকে গতকাল শনিবার বেলা ৩টার পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার চাচার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

চাচা ফয়সাল বলেন, ‘অপরিচিত নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে ভাতিজি তানিশা কোথায় জানতে চায়। আমি বলি বাড়িতে আছে, তারা বলে বাড়িতে নেই, আমাদের কাছে আছে। তানিশাকে নিতে হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। পরে বিষয়টি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারকে জানাই। মেম্বার পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজকে (২৫) রাতে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় বাড়ির পাশের ভুট্টা খেত থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন, ‘শনিবার বেলা ৩টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তানিশা নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় ভুট্টা খেত থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।’

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’