advertisement
advertisement
advertisement

বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৭ পিএম
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী
advertisement

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এআইইউবি বাংলাদেশে প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম।

আজ রোববার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ২১তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

advertisement

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সম্মতিক্রমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজুও ইয়ামামোতো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা।

সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের ৪ হাজার ৭২২ শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে ভালো ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।

advertisement

এর মধ্যে ছিল চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক তিনটি, ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক ৩৩টি, ভাইস চ্যান্সেলর পদক ৩৪টি, সুম্মা কাম লাউড (গোল্ড) ১২৮টি, ম্যাগনা কাম লাউড (রৌপ্য)- ২১৯টি ও কাম লাউড (ব্রোঞ্জ) ৫৬টি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এআইইউবি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রমে এসটিইএম বিষয়গুলোসহ আইসিটি, বিদেশি ভাষা এবং সিইসি, মাইক্রোসফট, সিসকো, জুনিপার, ওরাকল, সান মাইক্রো সিস্টেম, এসএপি, ফরটিনেট এবং ইসি কাউন্সিলের মতো বিশেষায়িত ও গুরুত্বপূর্ণ কোর্সসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই তাদের ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক স্ট্যাটিজিক প্লান প্রণয়ন করেছে। সব মিলিয়ে এআইইউবির ধারাবাহিক কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, এটি একটি প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক ও ভবিষ্যতমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুযোগ্য নাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে ওঠার সব সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।’
ডিগ্রিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা চাকরির জন্য নয়, নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে- সেটি আমাদের প্রত্যাশা। তোমাদের নিজ জীবন গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে, তা পালনে সচেষ্ট হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল এবং কারিগরি শিক্ষাসহ বিশেষক্ষেত্রে পারদর্শী শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তথ্য তুলে ধরেন।

সমাবর্তন বক্তা থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজুও ইয়ামামোতো তার শিক্ষা ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, তোমরা কর্মজীবনে পৃথিবীর যেই প্রান্তেই যাও না কেন, এআইইউবি থেকে যে মূল্যবোধ, জ্ঞান, সততা, আদর্শ অর্জন করেছো তা ভবিষ্যতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন স্বাগত বক্তব্যে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শিক্ষিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র গ্রেড অর্জন বিবেচ্য হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের আজকের এই অর্জনের পেছনে কারিগর হিসেবে তাদের পরিবার, পিতা মাতা ও অভিভাবকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।’
এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত ১০ বছরের কৌশলগত উন্নয়ন ও কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাবর্তনে আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।

এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের চারপাশের মানুষজনই তোমাদের জীবনের অস্তিত্ব ও মূল্যায়নকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিজের ও তোমাদের চারপাশের মানুষের জন্য একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করবে।

২১তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কামরুল ইসলাম রাব্বী, মো. এনামুল হক বিজয়, নাট্য অভিনেত্রী সাবিলা নূরসহ অনেকেই ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল আবেদীন হাসান, নাদিয়া আনোয়ারসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, এআইইউবির ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।