ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকলায়েন মুশতাক দ্বৈরথের কথা সবারই জানা। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গেও পাকিস্তানি এ ক্রিকেটারের বিরোধ নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা। সাকলিন মুস্তাক অজয় জাদেজার প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলছেন, তাকে বল করতে দেখে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল অজয় জাদেজার মুখ।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকলায়েন মুশতাক বলছেন, ‘এমনও সময় ছিল যখন আমাকে বোলিং করতে দেখে অজয় জাদেজার মুখ বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম পুরো এক ওভার আমার বল খেলতে পারবে না সে। আমার বলে আউট হয়ে যেত। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান ছিল। ওদের বল করা ছিল খুব কঠিন।’
১৯৯০ থেকে ২০০০-এই সময়ের মধ্যে ভারতের ব্যাটিং দারুণ শক্তিশালী ছিল। সাকলায়েন ‘দাদা’ বলে শচীন ও রাহুল দ্রাবিড়ের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি টেস্টে তিন বার আউট করেন দ্রাবিড়কে। টেন্ডুলকারকে ওয়ানডেতে দুই বার এবং টেস্টে তিন বার আউট করেন।
সাকলায়েন মুশতাক বলেন, ‘ইঁদুর ধরা এবং বাঘ শিকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই ব্যাটারদের সহজে ধরা সম্ভব নয়। ওদের বিরুদ্ধে বল করার আগে দীর্ঘক্ষণ ধরে আমাকে চিন্তাভাবনা করতে হত কীভাবে ওদের ফাঁদে ফেলা যায়, কীভাবে ওদের আউট করা সম্ভব। কখনো কখনো এমন হয়েছে ২০ ওভার বল করেও ওদের আউট করা যায়নি। সুতরাং ভাল ব্যাটসম্যানদের আউট করা খুব সহজ নয়। বড় মাপের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে হলে চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটাতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয় এবং চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।’