তিনদিনের ব্যবধানে বান্দরবানের থানচিতে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৫৫টি দোকান। আজ শনিবার সকালে থানচি বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভি ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে দোকান খুলে পসরা সাজাচ্ছিল থানচি বাজারের ব্যবসায়ীরা। এমন সময় হঠাৎ করে বাজারের সেগুন ঝিরি এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। কিছু বুঝে উঠার আগে মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এসময় আধা পাকা ও কাঁচা হওয়ায় বেশ কিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় থানচি বাজারের ৫৫টি দোকান। দোকানের মালামাল বের করতে না পারায় সহায় সম্ভব হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।
থানচি বাজারের ব্যবসায়ী বকি বলেন, আমি প্রায় সময় রাতে দোকানে থাকি। কিন্তু গতকাল মা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি যায়। পরদিন সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি আমার দোকান পুড়ে ছাই যায়। দোকানের কোন কিছুই বের করতে পারি নাই। দোকানের আয় দিয়ে আমি সংসার চালাতাম। কিন্তু দোকান পুড়ে যাওয়ায় আমি এখন নি:স্ব। কি করে সংসার চালাবো কিছু বুঝতেছিনা।
এ বিষয়ে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মার্মা বলেন, থানচি বাজারের মায়া গেস্ট হাউস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই অগ্নিকান্ডে ৫০টির মত দোকান পুড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারের তালিকা করা হচ্ছে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয় বলে জানান থানচি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা লিডার পেয়ার আহাম্মদ। তিনি বলেন- ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৫৫টি দোকান পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ থানচি উপজেলার বলি বাজারে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে আগুন লেগে পুড়ে যায় অর্ধশতাধিক দোকান।