জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কটুক্তি ও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। হেনস্তার শিকার ঐ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ওই শিক্ষার্থী টিউশনিতে যাওয়ার পথে নারিন্দা স্টার বেকারির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা উল্লেখ করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম উমর ফারুক সুমন (৫০)। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সুমন একাধিকবার বাজে মন্তব্য করলে প্রতিবাদ করে ওই শিক্ষার্থী। এসময় প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে মারতে উদ্যত হন এবং শ্লীলতাহানি করেন সুমন। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ইট ফেলে ওই শিক্ষার্থীর বুকে লাথি দিয়ে পালিয়ে যায় সুমন।
পরবর্তীতে ওয়ারী থানা পুলিশের সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও স্থানীয়দের বর্ণনায় অভিযুক্ত সুমনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়ারী থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এঘটনায় আসামীর শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি তার শাস্তি চাই। আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোন স্বাভাবিক ঘটনা না। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। এঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেনস্তার ঘটনা জেনেছি। থানায় যোগাযোগ করেছি। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে।’