advertisement
advertisement
advertisement.

মহেশখালীতে ‘মোখা’র তাণ্ডব, ঠাণ্ডায় ৩ লবণচাষির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
১৫ মে ২০২৩ ০২:২৪ পিএম | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ০২:২৪ পিএম
ফাইল ছবি
advertisement..

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের সময় কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণের মাঠে কাজ করতে গিয়ে ঠাণ্ডাজনিত কারণে তিন চাষির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন- উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদুয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মো. নেছার (৩২) ও বারঘর পাড়ার মতনের ছেলে মো. আনছার (৩৬)।

চেয়ারম্যান মীর কাশেম বলেন, রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের সময় বারঘর পাড়ার পশ্চিমের লবণ মাঠে কাজ করতে গিয়ে ঠাণ্ডাজনিত কারণে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ছাড়া রাতে লবণ মাঠের পানিতে ভাসমান অবস্থায় আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

advertisement

এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রোববার সকালে পলিথিন ও লবণ সংরক্ষণের জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠাণ্ডায় ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টায় রিদুয়ানকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দর থেকে সব সংকেত নামল

এদিকে লবণ মাঠে গিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় ভাসমান অবস্থায় মো. নেছার এবং লবণ মাঠের আরেক প্রান্ত থেকে রাত ১২টার দিকে মো. আনছার নামের আরেক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক চাষিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরও ১০/১৫ জন লবণ চাষি এখনো ঘরে ফেরেননি বলেও জানায় এলাকাবাসী।

জানতে চাইলে মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চাকমা বলেন, ‘লোকমুখে তিনজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। তারপরও আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি।’ এ সময় নিখোঁজের ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু জানায়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।