টেকনাফে অপহরণ ও খুনের শিকার তিন বন্ধুকে হত্যার পর মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল অপহরণকারীরা। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বুধবার টেকনাফ হাবিবছড়া গহীন পাহাড় থেকে অভিযান চালিয়ে ৪ অপহরণকারীকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, শফি আলম, আরাফাত, ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত ও এমরুল। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব ১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিন বন্ধু মিলে টেকনাফ পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তাই দুইজনকে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো অপহরণকারীরা পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছিল। কারণ যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের সনাক্ত করতে একটু সময় হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তারা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন তারা। দিনের বেলায় এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ধরে থাকতেন। রাতে পাহাড়ে গিয়ে তাদের নির্যাতন করত। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হত। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আব্দুল হালিম বলেন, গত ১৩ মে রোহিঙ্গা শফি আলম ও আরাফাতকে আটক করা হয়। এমনকি অপহৃত রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে র্যাবের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক শফি আলম ও আরাফাতকে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।