নানা সংকটের মধ্যেও অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগের বড় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জন করতে চান। এর মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং সরকারি বিনিয়োগ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। এ লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে অর্জন করবেন অর্থমন্ত্রী তার দিশা থাকবে বাজেট বক্তৃতায়।
জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে করপোরেট কর বাড়াবেন না। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে মিউচুয়াল ফান্ডের তিন স্তরের কর কমিয়ে এক স্তরে নামিয়ে আনা হচ্ছে। অর্থবিলে এ বিষয়টি যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণি যাতে বিনিয়োগ করতে পারেন, এ জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হতে পারে। এ ছাড়া বিনিয়োগের অন্যতম শর্ত জ্বালানি। এ জন্য বিনিয়োগের পথকে আরও সহজ করতে আগামী বাজেটে ১৩ ধরনের তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে সরকার। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং আমদানি বিল কমাতে- কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়াতে চায় সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আসন্ন জাতীয় বাজেটে ফ্রিজ, ফ্যান, এলপিজি সিলিন্ডার, লিফট ও এসকেলেটরের মতো বিবিধ পণ্যের ওপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বাড়তে পারে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে দামি গাড়ির শুল্ক বাড়ছে। বিশেষ করে ২০০০ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। আবার যেসব করদাতার দ্বিতীয় গাড়ি আছে, তাদের করের হার আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে দ্বিতীয় গাড়ির ক্ষেত্রে বিদ্যমান অগ্রিম করের ৫০ শতাংশ বেশি কর দিতে হয়। এটি সিসিভেদে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। কর বাড়তে পারে ২০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা।
অন্যদিকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য সুখবর আসছে। বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে আগের বছরের আয়কর রিটার্নের অনুলিপি দেখাতে হয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন বাজেটে পাঁচ লাখ টাকার সীমা বাড়িয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করা হতে পারে।