বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না, যতক্ষণ বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। যতক্ষণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশে ফিরে আসবে না, সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে না, ততক্ষণ রাস্তায়,পাড়া-মহল্লায় সরকার পতনের আন্দোলন চলবে। মনে রাখবেন চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের বশির ভিলা প্রাঙ্গণে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
আমির খসরু আরও বলেন, ‘পুলিশ, বুদ্ধিজীবী ও সরকারি আমলাদের একাংশ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ এদেশের আপামর জনগণ এখনো নির্বাচন চায় না। কারণ সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের এখনো কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনী ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি।
তিনি আওয়ামী লীগ ও সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এ সরকার হচ্ছে বাকশালী সরকার। বাকশালী মানে টেন্ডারে প্রভাব বিস্তার, জমি জবরদখল, লুটতরাজ, হত্যা, খুন, গুম, রাহাজানি করা। সাধারণ মানুষের অধিকার লুণ্ঠন করা, ভোটের অধিকার হরণ করা এ সরকারের কাজ। এ সরকার জনগণের সরকার নয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যেমনি জিয়াউর রহমানের রাজনীতিকে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে, তেমনি তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতিকেও ভয় পাচ্ছে। তাই তারেকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে। রাজপথে থেকে কর্তৃত্ববাদী এ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ মজুমদার, হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।