কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন ও ইমাম নিয়োগ নিয়ে পৃথক সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ও আগানগর ইউপির নবীপুর এলাকায় পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ২৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১০ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত দুজনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকার খানবাড়ি বংশের জায়গায় কালিকাপ্রসাদ খান বাড়ি জামে মসজিদটি অনেক বছর আগে নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে খানবাড়ির বংশের কবির খান মসজিদটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কমিটির মেয়াদ শেষ হলে কয়েকদিন আগে তাকে পুনরায় সভাপতি করেন এলাকাবাসী। কিন্ত প্রতিপক্ষ মুরাদ খানসহ কাউছার, আলাউদ্দিন মিয়া গংরা কবির খানকে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব দিতে বাধা দেন। এ নিয়ে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ২৫ জন আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষরা কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না: জাহাঙ্গীর আলম
অন্যদিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুরা মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে এলাকার নসব আলী ও বাবইরার বাড়ির বংশের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কারণ হিসেবে জানা যায়, নসব আলীর বাড়ির লোকজন আ. আওয়াল নামের একজনকে মসজিদের ইমাম নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু বাবইরার বাড়ির লোকজন তার নিয়োগ মানতে রাজি নয়। এ নিয়ে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে শুরু হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাটি দুঃখজনক।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।