বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নিরপেক্ষ নির্বাচনের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিদারদের মুখে চুনকালি দিয়ে গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাহলে কি প্রমাণ করে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং স্বদিচ্ছা।
আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর হোটেল গার্ডেন ইন ভিআইপির বলরুমে অনুষ্ঠিত জাপার সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী মামুন বলেন, ভুলে যান কেনো, মাগুরার উপনির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের নির্লজ্জ সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। কি হয়েছিল সেদিন, আমরা কি ভুলে গেছি। তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মাগুরা ছেড়ে এসেছিলেন। সুতরাং মাগুরার নির্বাচনকারীদের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানায় না। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়, তেমনি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, নিঃসন্দেহে গাজীপুরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে আর কি প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে।
বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রায় এক লাখ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো লাঙলের প্রার্থীরা তেমন ভোটই পেয়েছেন। তাহলে এবার লাঙলের প্রার্থীর জামানত হারানোর মানে জাতীয় পার্টির পরাজয় নয়, এটা জি এম কাদেরের পরাজয়।
সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড.জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমদ, জাপা নেতা অ্যাড.আবু সালেহ চৌধুরী, ইশরাকুল হোসেন শামীম, মুজিবুর রহমান ডালিম, মুরাদ আহমেদ, মো.কাইয়ুমসহ সিলেট বিভাগের শীর্ষ নেতারা।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ জামাল রানা, অ্যাড.আব্দুল্লাহ আল হেলাল, সৈয়দ মোকাব্বের, ইসরাফিল হোসেন মিয়া, মো.ফিরোজ খান, সোলাইমান মজুমদার ও আব্দুল আজিজ।
এরআগে, সকালে বিমানযোগে সিলেট পৌঁছে প্রথমে হযরত শাহ জালালর(রহ.) মাজার জিয়ারত করেন কাজী মামুনের নেতৃত্বাধীন সফরকারী টিম। দুপুরে জুমার নামাজ আদায় শেষে হযরত শাহ পরানের(রহ.) মাজার জিয়ারত করে আড়াইটায় প্রতিনিধি সভায় যোগ দেবেন বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মো. মামুনূর রশীদ।