‘কেউ জানার আগেই লাশ তোমরা মাটিতে পুঁতে দিও। মা, আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। হাসান ও তার পরিবার আমাকে বাধ্য করেছে মরতে। মাগো, আমি থাকলে তোমরা অপমান-অপদস্থ হবে। মানুষ তোমাদের ঘৃণা করবে। আমার ভাইবোন এ সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। সে জন্য আমি চাই, তোমরা ভালো থাকো। ’
আত্মহত্যার আগে প্রেমিক হাসান ও তার পরিবারকে দায়ী করে মা-বাবা ও পরিবারের উদ্দেশে এমন চিরকুট লিখে গেছেন রিনা আক্তার (২২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রামগঞ্জের লামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের ফকিরের ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাড়ির নজির আহম্মদের মেয়ে।
অভিযুক্ত হাসানের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামে। হাসান সম্পর্কে রিনাদের আত্মীয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে রিনা ও হাসানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় হাসান। সম্প্রতি হাসান ও তার পরিবার রিনাকে অস্বীকার করে ও নানাভাবে অপমান-অপদস্থ করে। এ অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মেয়েটি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।