advertisement
advertisement
advertisement.

নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের প্রমাণ মার্কিন ভিসানীতি

সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১২:২২ এএম
advertisement..

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রমাণ করেছে, সরকারপ্রধান যে গণতন্ত্রের কথা বলেন ও ভোটের কথা প্রচার করেন, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকার যে নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ক্ষমতায়

advertisement

আছে, তা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ভিসা নীতি প্রমাণ করে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে ‘রাজনৈতিক সংকট ও রাষ্ট্রের গতিপথ’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন সাইফুল হক। গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী আবদুস সালামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার এক রাতের মধ্যে হম্বিতম্বি বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখন মার্কিনিরা (বিধিনিষেধ) দিয়েছে, তারপর হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড একই ধরনের ব্যবস্থার দিকে যাবে। পুরো শাসকশ্রেণির মধ্যে একটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দখলদারি থাকবে, নাকি গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা প্রতিষ্ঠিত হবে, সে জন্য আগামী কয়েক মাস দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর দেশে একটা হুলুস্থূল লেগে গেছে বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সভায় তিনি ভিসানীতি ঘোষণার পর ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ডাকা বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যাওয়ার সমালোচনা করেন। মান্না বলেন, যারা রাজপথে মিলে না, কথায় মিলে না, লড়াইয়ে একজন আরেকজনের দিকে চোখে চোখ রেখে দরকারে গুলি করছে, তারা মিলে যায় কী করে?

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে নির্বাচন ঠিকমতো হয় না। বিষয়টি বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, জনগণের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ গঠন করতে হবে। কোনো দেশ এসে উদ্ধার করে দিয়ে যাবে না।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, সরকারের সময় ঘনিয়ে আসছে। এখন দরকার হচ্ছে মাঠে ঐক্য। দেনদরবার করে ক্ষমতা পরিবর্তন করে লাভ হবে না। রাজপথে ফয়সালা করতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মার্কিন দূতাবাসে বিএনপির বৈঠকের সমালোচনা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে বাঁশি হুইসেল দিয়েছে। দেখা গেল, তিনটি দল একত্র হয়ে গেল। কিন্তু আমরা যাদের সঙ্গে মাঠে লড়াই করছি, আমাদের একবার জিজ্ঞেস করার সময় তারা পাননি। এত ব্যস্ত হয়ে গেল, কখন হুজুরের সামনে হাজিরা দেওয়া যাবে।’

আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের (মন্টু, সাইয়িদ ও সুব্রত) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।