advertisement
advertisement
advertisement.

ইংলিশ চ্যানেলে শরণার্থীবোঝাই নৌকাডুবিতে নিহত ২৭

অনলাইন ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২১ ১১:২৩ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ১১:৪৩ এএম
উদ্ধারকৃত লাশগুলো সরিয়ে নিতে ইংলিশ চ্যানেলের তীরে ভিড় করেছে জরুরীসেবা প্রদানকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলো। ছবি : এপি
advertisement..

ইংলিশ চ্যানেল হয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৭ শরণার্থী নিহত হয়েছেন। ফ্রান্সের কালাই উপকূলের কাছে বুধবার সন্ধ্যার পর নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা না গেলেও ফ্রান্সের স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, একটি বড় কন্টেইনার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শরণার্থী বহনকারী নৌকাটি ডুবে গেছে।

advertisement

২০১৪ সালের পর এটিই এই চ্যানেলে একক দুর্ঘটনায় ‘সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির’ ঘটনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবার রাতে পানিতে বেশ কিছু মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখলে অ্যালার্ম বাজিয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে একটি মাছ ধরার নৌকা।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, নৌকাটিতে ৩৩ জন অভিবাসী ছিল, যাদের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও দুজন শিশু রয়েছে।

ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীরা মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে ফ্রান্স থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডারমানিন আরও জানিয়েছেন, ফ্রান্সের পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দুর্ঘটনার খবরে তিনি ‘বিস্মিত ও আতঙ্কিত’। আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেলকে কিছুতেই সমাধিক্ষেত্র হতে দেবে না।’

যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই ইংলিশ চ্যানেল হয়ে ১৭৯টি ছোট নৌকা অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যে যায়। এই বছরে এখন পর্যন্ত মোট ৯২৮টি নৌকা অভিবাসীদের নিয়ে এই যাত্রা করেছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই বছরেই ছোট নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে গেছেন ২৫ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৮ হাজার ৪৬৯ জন।