রাজধানীর রামপুরায় এবার ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘রাইদা’ পরিবহনের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনার পর ওই কলেজের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাইদা পরিবহনের ৪০টি বাস প্রগতি সরণির রামপুরা বিটিভি ভবন এলাকায় আটকে রেখে প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল ৪টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ইম্পেরিয়াল কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. দেলওয়ার হোসেন মৃধা বলেন, আমরা
শিক্ষার্থীদের বলেছি তোমাদের দাবি যৌক্তিক। তবে এভাবে রাস্তা বন্ধ করে বাস আটকে রেখে কোনো সমাধান আসবে না। পুলিশ তোমাদের সাহায্য করবে।
রামপুরা থানার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ইম্পেরিয়াল কলেজের এক ছাত্রী মুগদা থেকে করোনার টিকা নিয়ে সোমবার দুপুর ২টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে বাসায় ফিরছিলেন। রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে নামার সময় তাকে ওই বাসের হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ খবর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনে রাইদা পরিবহনের ৪০টি বাস আটকে দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। আলোচনায় রাইদা পরিবহনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন পরিচালক অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই পরিচালকের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। দবিগুলো হলো- এ ঘটনায় দায়ী হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; শিক্ষার্থীসহ কোনো যাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা যাবে না; সবার কাছ থেকেই ন্যায্য ভাড়া নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে হবে। দাবিগুলো মেনে নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা পরিচালকের হাতে বাসের চাবি তুলে দেন।