মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ চরমুক্তারপুর এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ সেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ইয়াসিন (৫) ও এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নোহর (৩) মারা যায়। এ ছাড়া তাদের বাবা-মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চরমুক্তারপুর এলাকার হাজী জয়নালের ভাড়াটিয়া কাউছারের ফ্ল্যাটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হন কাউছার, তার স্ত্রী শান্তা, তাদের ছেলে ইয়াসিন ও মেয়ে নোহর।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব খান বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন একই পরিবারের চারজনের মধ্যে দুই শিশু ইয়াছিন ও নোহর মারা গেছে। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ কাউছার ও শান্তা দম্পতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিউতে রাখা হয়েছে। ওসি (তদন্ত) আরও বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন- ইয়াছিনের শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। নোহরের দগ্ধ
ছিল ৩২ শতাংশ। তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। কাওছারের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং তার স্ত্রীর ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আহত কাউছারের ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, চাকরিসূত্রে কাউছার পরিবার নিয়ে মুন্সীগঞ্জে থাকতেন। দুই শিশুর মরদেহ গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিজ গ্রামে তাদের দাফন করা হয়। কাউছার ও শান্তার অবস্থাও ভালো না বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে চারতলা বাসভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটে কাউছারের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘর ও ফ্ল্যাটের অপর দুটি কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফ্ল্যাটের জানালার কাচ ও দরজা ভেঙে চুরমার হয়। ফ্ল্যাটে থাকা কাউছারসহ তার পরিবারের চার সদস্য অগ্নিদগ্ধ হয়।