গত ২৭ নভেম্বর শনিবার ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা, নারী-শিশুদের জন্য নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও একসাথে’ স্লোগান সামনে রেখে ‘জাতীয় সম্মেলন ২০২১’-এর আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল অক্সফাম ও গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত এবং সিনিয়র জেলা জজ ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া। এতে সভাপতিত্ব ছিলেন মানবাধিকারকর্মী ও আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল। এ ছাড়া আমরাই পারি জোটের কো-চেয়ারপারসন শাহীন আনাম, অক্সফামের হেড অব জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশেন মাহমুদা সুলতানাসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, নারী অধিকারকর্মীসহ দেড় শতাধিক চেঞ্জমেকার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সম্মেলনের প্রথম পর্বে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট কর্তৃক সম্পাদিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা : আইনের প্রয়োগ, শিখন ও প্রতিবন্ধকতা’ এবং ‘বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ : আর্থসামাজিক চালিকাশক্তি ও আইনের সীমাবদ্ধতা’- এ দুটি গবেষণা এবং অধ্যয়ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. পারভীন জলি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফরিদা ইয়াসমীন। এ ছাড়া প্যানেলিস্ট ছিলেন পুলিশের এআইজি শেহেলা পারভিন, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসেন, ইউএনএফপিএর জিবিভি ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর রুমানা খান, গার্লস নট ব্রাইডস : দি গ্লোবাল পার্টনারশিপ টু অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজের সিনিয়র অফিসার ফর এশিয়া দিব্যা মুকুন্দ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর গার্লস রাইটস কাশফিয়া ফিরোজ ও ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি লিড তাকবির হুদা।
বেলা ৩টায় শুরু হয় জাতীয় সম্মেলনের মূল পর্ব। আমরাই পারি জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক এটি সঞ্চালনা করে। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অক্সফামের হেড অব জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশেন মাহমুদা সুলতানা।
সম্মেলনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৫ জন ‘আমরাই পারি চেঞ্জমেকার’কে পুরস্কৃত করা হয়।