‘আমি ছেলে ধরা না, আমি ছেলে ধরা না’ বাঁচার এ আকুতিও রক্ষা করতে পারেনি তাসলিমা বেগম রেনুকে। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মারা যান তিনি। ২০১৯ সালের ২১ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এ ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘শাহানা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাহমুদ দিদার।
নির্মাতার ভাষ্য, ‘রেনুর সেই ঘটনা প্রতিটা মানুষকেই তাড়িত করেছে, মনে ক্ষত তৈরি করেছে। তিন বছর ধরে সমাজের মর্মান্তিক এই গল্পটা দর্শকদের দেখাতে চাইছিলাম। কারণ, এ ধরনের সন্দেহ সমাজকে অন্যায়ের দিকে ধাবিত করে। গল্পটি দিয়ে দর্শকদের মাঝে একটি মানবিক আবেদন তৈরি করতে চেয়েছি। এমন নির্দয় সমাজ আমরা চাই না।’
এর গল্পে দেখা যাবে, শাহানার স্বামী জুয়াড়ি, হুটহাট উধাও হয়ে যাওয়া যার স্বভাব। জুয়ায় সর্বস্ব শেষ হয়ে গেলেও থামে না যে, তেমনই এক চরিত্র রশিদ। কন্যা হাসিকে নিয়ে দারুণ বিপদে পড়েন শাহানা। কোথায় যাবেন তিনি! স্বামী উধাও, ছোট্ট বালিকা হাসির ওপরও বাড়িওয়ালার ড্রাইভারের চোখ পড়েছে।
বাড়িওয়ালাও শাহানাকে অস্বস্তিকর প্রস্তাব দেন, নইলে ছাড়তে হবে বাসা। শাহানা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন শীতের রাতে। এগিয়ে আসেন স্বর্ণকার মিজান। শাহানার কুলহারা জীবনে পাশে এসে দাঁড়ান। নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখান। স্কুলে ভর্তি হয় হাসি। হঠাৎ ফিরে আসেন রশিদ।
টেলিছবিতে শাহানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমনা সোমা আর তার মেয়ের চরিত্রে হাসি। অন্যদিকে রশিদ চরিত্রে আরমান পারভেজ মুরাদ এবং মিজানের ভূমিকায় দেখা যাবে রওনক হাসানকে।
নির্মাতা মাহমুদ দিদার জানান, আগামী বুধবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ‘শাহানা’ প্রচার হবে চ্যানেল আইতে।