দেড় যুগ আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু ও খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। দীর্ঘদিনের এই সংসারে কোনোদিন তাদের দুজনের মধ্যে বড় ধরনের ঝামেলা হতে দেখেননি স্বজনরা। কিন্তু এই নায়িকার লাশ উদ্ধারের পর যখন তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হলো, তখন জানা গেলে- দাম্পত্য কলহের কারণেই নাকি স্ত্রীকে হত্যা করেছেন নোবেল। যে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছেন না শিমুর স্বজনরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিমুর ছোট বোন ফাতেমা নিশা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বড় দুই ভাই হারুন অর রশিদ ও শহিদুল ইসলাম খোকন।
ফাতেমা নিশা বলেন, ‘শিমু-নোবেলের সংসারে দুটি ছেলে -মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনোদিন তেমন ঝগড়াঝাঁটি হয়নি। কী কারণে বোনজামাই আমার বোনকে হত্যা করতে পারেন, তা আমার বুঝে আসে না। কী অপরাধ ছিল আমার বোনের। কেন তাকে হত্যা করা হলো, নাকি এখানে অন্য কিছু রয়েছে। হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। আদালত নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
গত সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের পাশ থেকে অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।