advertisement
advertisement
advertisement.

ইউক্রেন উত্তেজনা : সাড়ে ৮ হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:০৬ এএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০২:২২ পিএম
ছবি : বিবিসি
advertisement..

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পেন্টাগন ৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনাকে উচ্চ-সতর্কতায় অবস্থান নিতে বলেছে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখ সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই পদক্ষেপ নিলো পেন্টাগন। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

advertisement

এদিকে পেন্টাগন এখনো সুস্পষ্ট করে জানায়নি, তারা ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করবে কি না। তবে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, এটা সিদ্ধান্ত নেবে সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়ার সেনাদের প্রতিহত করতে ন্যাটো ভূমিকা নেবে।

তবে ইউক্রেনে সেনা মোতায়নের কোনো পরিকল্পনা পেন্টাগনের নেই। কিন্তু এরই মধ্যে ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের মতো ন্যাটো সদস্যরা পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট খুব জরুরি নয় এমন কর্মী ও মার্কিনিদের খুব দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার জোর আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করছে। তবে রাশিয়া সেই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট এও জানিয়েছে, চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে লোকজন যেন রাশিয়া ভ্রমণ না করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হয়রানি ও অশান্তি সৃষ্টি করা হতে পারে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা রয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।

সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে রুশের এক লাখ সেনা সমাবেশ করা হয়েছে, যা পরিকল্পিত একটি নতুন যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনকে সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বিভিন্ন ‘যুদ্ধ উপকরণ’ পাঠিয়েছে। সবশেষ বাইডেন প্রশাসনের পাঠানো ২০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা কিয়েভে পৌঁছেছে।