দা দিয়ে কুপিয়ে পুলিশের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে পালিয়েছেন এক আসামি। আহত পুলিশ কনস্টেবলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় আরও এক পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার বাদী আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কনস্টেবল জনি খান (২৮) লোহাগাড়া থানায় কর্মরত। আহত অন্য দুজন হলেন- কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন (২৭) এবং মামলার বাদী মো. আবুল হোসেন কালু। আর পালিয়ে যাওয়া আসামি কবির আহমদ (৩৫) লালারখিল গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক গতকাল দুপুরে বলেন, আহত কনস্টেবলকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য
অন্যত্র পাঠানো হবে।
পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, পুলিশ সদস্য জনি খানকে রবিবার বিকালেই উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে লালারখিল গ্রামের মামলার আসামি কবিরকে ধরতে লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের চার সদস্যের একটি দল তার বাড়িতে যায়। বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরুর পর কবিরকে প্রায় ধরে ফেলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তিনি কনস্টেবল জনি খানের বাম হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারেন। এতে জনি খানের বাম হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন কবির পালিয়ে যান। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে মামলার বাদী আবুল হোসেন কালুও ছিলেন। আসামি কবির যাওয়ার সময় তাকেও দা দিয়ে কোপ মারেন। এতে আবুল হোসেনও আহত হন। এ ছাড়া আহত হন কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত পুলিশ সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে জানিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, লালারখিল গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২৪ মার্চ দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি কবির আহমদ। লালারখিল গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন কালু মামলাটি দায়ের করেছিলেন। কবিরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।