চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামির দায়ের কোপে পুলিশ সদস্যের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাতে বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম রানু বেগম। তিনি মূল অভিযুক্ত কবির আহমদের স্ত্রী। আর আহত পুলিশ সদস্য হলেন জনি খান। তিনি লোহাগাড়া থানায় কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন। ঢাকার আল মানার হাসপাতালে তার বিচ্ছিন্ন হাত প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ দত্ত জানান, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর আল মানার হাসপাতালের চিকিৎসকরা টানা ১০ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর জনির হাতের কব্জি প্রতিস্থাপন করতে পেরেছেন। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন, জনি সুস্থ হওয়ার পর আবার কাজে ফিরতে পারবেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, গতকাল (রবিবার) পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাতেই কবির আহমদ, তার স্ত্রী ও মাকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় কবিরের স্ত্রী রানু বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গত রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জনি খানকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আহত জনির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাতেই ঢাকার আল মানার হাসপাতালে দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন
হওয়া কব্জি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের আধারমানিক এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্য জনি খান। এ সময় জনি খানসহ পুলিশের আরেক সদস্য ও মামলার বাদী আবুল হাশেমও আহত হন। আসামি কবির আহমদের ধারালো দায়ের কোপে কনস্টেবল জনি খানের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।