পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলে যে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তার প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তবে এই সেতু মানুষের সময় অনেক বাঁচিয়ে দেবে বলেও মনে করেন তিনি।
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। যেদিন থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে, সে দিন থেকে এই টোল কার্যকর হবে।
টোল হার সম্পর্কে এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘টোল কার্যকর হওয়ার পরেই এই রুটে যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়ে। তবে এটাও ঠিক, পদ্মা সেতুর কারণে মানুষের কর্মঘণ্টা বাঁচবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাছাড়া ফেরিতে পারাপারেরও একটা ভাড়া আছে। তবে ফেরির ভাড়ার চেয়ে পদ্মা সেতুতে পারাপারের ভাড়া খুব বেশি ব্যবধান রাখা উচিত হবে না। এটা যৌক্তিক মাত্রায় হওয়া উচিত।’
মির্জ্জা আজিজুল আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে তুলনা করলেও পদ্মা সেতুর টোল বেশি হওয়ার কথা। কারণ এর নির্মাণ খরচ ও দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। তবে সেই বেশি যেন মাত্রাতিরিক্ত না নয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ টোলের টাকা ভোক্তার পকেট থেকেই আদায় করবে পরিবহনগুলো।’