আষাঢ়ের ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নদীতে দল বেধে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করে হাজারো জেলে ও সংগ্রহকারী।
গত বুধবার ভোর থেকে নমুনা ডিম ছাড়লেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা মাছ। আজ সকালে ডিমের পরিমাণ কম হলেও দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে ডিমের পরিমাণ। দুই শতাধিক নৌকা ও বাঁশের ভেলায় বসে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করছেন পাঁচ শতাধিক ডিম সংগ্রহকারী।
ডিম সংগ্রহকারী নুরুল আবছার বলেন,‘বজ্রবৃষ্টি দেখে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে আমরা নদীতে অবস্থান করি। বুধবার ভোর থেকে নমুনা ডিম পেলেও আজ ভোর থেকে ৪ বালতি ডিম সংগ্রহ করেছি।’
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মা মাছগুলোকে শতভাগ নিরাপদ রাখতে উপজেলা প্রশাসন, এনজিও, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগ যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। তাই প্রত্যাশা ছিল প্রচুর পরিমাণ সংগ্রহ করার। কিন্তু প্রকৃতি সহায় ছিল না। পঞ্চম জো (ডিম ছাড়ার সময়) শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র একটি জো আছে। এর মধ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। হালদা নদীর ডিম ছাড়ার অন্যতম শর্ত বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল। এবার বৃষ্টিও হয়নি, পাহাড়ী ঢলও সৃষ্টি হয়নি। এ জন্য ডিম সংগ্রহ কম হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের যেকোন পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কয়েক দিন আগে ও পরে কার্পজাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ) মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। গত জোতে তিন হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেন সংগ্রহকারীরা। এ সব ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।