পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৬৫ (৩ ধারা) অনুযায়ী এ কমিশন করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, যোগাযোগ সচিব ও দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। ২৮ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের
বেঞ্চ শুনানি নিয়ে ওই নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুন নূর। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, হাইকোর্টের ইতিপূর্বে দেওয়া আদেশ মোতাবেক কমিশন গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু করোনার কারণে বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন বা কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্টের তখনকার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ ওই রুল দেন।
আদেশ দেওয়ার পরও সরকারের কোনো পদক্ষেপ না দেখে একই বছরের ২ আগস্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ৩১ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়। এর পরও বিষয়টি এগোয়নি।
সাড়ে চার বছর আগের ওই রুল শুনানির জন্য গত রবিবার আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। গতকাল এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হয়।