তামিম ইকবালের অর্জনের মুকুটে যোগ হয়েছে আরেকটি পালক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে গতকাল ৬২ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে এই কৃতিত্ব দেখান বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
৮ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করার জন্য তামিমের দরকার ছিল ৫৭ রান। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬২ রান করেন তিনি। ২২৯ ম্যাচের (২২৭ ইনিংস) ক্যারিয়ারে ৩৭ গড়ে তার মোট রান ৮ হাজার ৫। ৭৮ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা তামিমের সর্বোচ্চ রান ১৫৮। সেঞ্চুরি ১৪টি। ফিফটি ৫৪টি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় তামিম ইকবালই শীর্ষে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার ২২১ ম্যাচে (২০৯ ইনিংস) ৩৭ গড়ে ৬ হাজার ৭৫৫ রান করেছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। ২১৯ ইনিংসে ৩৭ গড়ে তার রান ৬ হাজার ৭৪৯। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ১৮২ ইনিংসে ১ হাজার ৬৪৯ রান করেছেন। তালিকার দশে থাকা লিটন দাসের রান ৫৭ ইনিংসে ১ হাজার ৮৩৫।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে তার ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ফিফটি রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে গতকাল বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে সর্বাধিক রান করা তামিম বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান করেছেন; যা বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বাধিক রান। আর টেস্টে তিনি আছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ৬৯ ম্যাচে ৫ হাজার ৮২ রান করেছেন তামিম। এই ফরম্যাটে শীর্ষে আছেন মুশফিক (৫২৩৫)। হারারেতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটিতে দলীয় স্কোরকার্ডে ১১৯ রান জমা হয়। টপ অর্ডারের তামিম ছাড়াও ফিফটি করেছেন লিটন (৮১), বিজয় (৭৩) ও মুশফিক (৫২*)। চার ফিফটিতে ২ উইকেটে ৩০৩ রানের বড় দলীয় সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।