আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া খাল দখলের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তালুকদারহাট এলাকায় চাওড়া খাল অবৈধভাবে দখল করে দুই পাড়ে আধাপাকা ভবন নির্মাণ করে সরকারি খাল দখল করেছে। খাল দখল করে দুই পাড়ে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করায় ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে খালের গতিপথ। পাশাপাশি আবাসিক ভবন থেকে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগ করায় দূষিত হচ্ছে খালের পানি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে চাওড়া খালের তালুকদারহাট এলাকায় সেতু নির্মাণের পর ওই এলাকায় ব্যবসায়িক কেন্দ্র গড়ে ওঠায় খালের দুই পাড় দখলের হিড়িক পড়ে যায়। দখলকৃত এসব জায়গায় গড়ে তোলা হয় আধা পাকা আবাশিক ভবন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। খাল দখল করে তোলা এসব ঘর ভাড়া দিয়ে প্রভাবশালীরা প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা আয় করছেন তারা। ভবন তোলার জন্য অনেকেই খালের মধ্যে মাটি এবং ইটের টুকরো ফেলে খালের অর্ধেকটাই ভরাট করেছেন। খালের দুই পাড় থেকে মাটি এবং ইট দিয়ে ভরাট করায় প্রবহমান খালের গতি পথ প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। প্রবাহমান স্রোত বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পলি পড়ে অনেকটাই এখন ভরাট হয়ে গেছে। এতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এ খালে নৌচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আবাসিক ভবন থেকে প্রতিনিয়ত খালে ময়লা-আবর্জনা এবং খোলা পায়খানার মাধ্যমে খালে মলমূত্র ত্যাগ করায় পানি দূষণ বাড়ছে। এর ফলে গ্রামের লোকজন এখন এ খালের পানি কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না। অনেকেই এখন দূরদূরান্ত থেকে পানি এনে ব্যবহার করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন জানান, যেভাবে খাল দখল শুরু হয়েছে তাতে দু-এক বছরের মধ্যে এ খালের অস্তিত্ব থাকবে না। ফলে নৌচলাচলে বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) সাদিক তানভীর আমাদের সময়কে বলেন, খাল দখল করা সম্পূর্ণ অবৈধ। যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আধা পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার করা হবে।