শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার দুপুরে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’খ্যাত অভিনেতা বিক্রম গোখলে। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বুধবার রাতে একবার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বেশকিছু সর্বভারতীয় গণমাধ্যম খবরটি প্রচার করেছিল। বৃহস্পতিবার অভিনেতার স্ত্রী ভ্রুশালি গোখলে জানিয়েছেন, বিক্রম গোখলের মৃত্যুর খবর ভুয়া। তিনি বেঁচে রয়েছেন। তবে এবার সত্যিই তিনি চলে গেলেন। একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে পুনের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রথিতযশা এই অভিনেতা। বেশ কিছুদিন ধরে বিনোদনজগতের বাইরে ছিলেন। ২০১৬ সালেই থিয়েটারকে বিদায় জানিয়েছিলেন বিক্রম। শরীরে নানা রোগবালাই বাসা বেঁধেছিল। বয়সের ভারেও ক্লান্ত ছিলেন। ১৯৪০ সালের ১৪ নভেম্বর গোখলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিক্রম। তার বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলেও মারাঠি থিয়েটার এবং সিনেমার পরিচিত নাম। বিক্রমের দাদি কমলাবাই গোখলে প্রথম নারী শিশুশিল্পী ছিলেন। হিন্দি, মারাঠি সিনেমা ও থিয়েটারে দাপিয়ে কাজ করেছেন বিক্রম গোখলে। তবে একসময় থিয়েটার থেকে পুরোপুরি বিদায় নেন। জানা গেছে, তার গলায় বেশকিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণেই মঞ্চজগৎ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রজগতে এসেছিলেন ২৬ বছর বয়সে। তার প্রথম ছবি ‘পরওয়ানা’ মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। বিক্রম গোখলে ও অমিতাভ বচ্চন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘হাম দিল চুকে সনম’, ‘অগ্নিপথ’, ‘খুদা গাওয়া’, ‘ক্রোধ’, ‘বলবান’, ‘জজবাত’, ‘লাকি : নো টাইম ফর লাভ’, ‘কুছ তুম কাহো কুছ হাম কাহে’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘তুম বিন’, ‘ব্যাং ব্যাং’, ‘ফিরিঙ্গি’, ‘হিচকি’, ‘আইয়ারি’, ‘মিশন মঙ্গল’ ইত্যাদি। মারাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ভারতের সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। তাকে সর্বশেষ ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখা গেছে।