এশিয়ার দেশগুলো কার্বন নিঃসরণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, দুর্নীতির কারণে সে সব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারছে না বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, এশিয়ার দেশগুলোতে দুর্নীতির পরিমাণ ১ শতাংশ বেড়ে গেলে কার্বন নিঃসরণের হার বেড়ে যাবে দশমিক ১৯
শতাংশ। খবর ফিজডটঅর্গ।
গবেষণাটি করেছেন লন্ডন ও ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট’। গবেষণা প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক ‘ইউটিলিটিস পলিসি’ সাময়িকীর ডিসেম্বর সংস্করণে প্রকাশ পাবে। ১৯৬০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৭টি দেশের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও নেপালও রয়েছে।
গবেষকরা জানান, বিশে^ প্রতিবছর যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, তার ৬৩ শতাংশের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো দায়ী। মূলত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশে কার্বন নিঃসরণ বেড়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ হয়, যা অন্যান্য মহাদেশের মোট নিঃসরণের চেয়েও বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব অঞ্চলে দুর্নীতি বেশি, সেসব অঞ্চলে কার্বন নিঃসরণের হারও বেশি। বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, এশিয়ার দেশগুলোতে দুর্নীতির পরিমাণ ১ শতাংশ বেড়ে গেলে কার্বন নিঃসরণের হার দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে যাবে।
গবেষক দলে আছেন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক খসরুল আলম। তিনি বলেন, ‘এশিয়ার অনেক দেশে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় পরিবেশগত সুরক্ষার বিষয়সমূহ বিবেচনায় না নিয়েই। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থাকে, তাদের অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। আর দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা কাজের সময় পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না। এ কারণে কার্বন নিঃসরণ বেড়ে যায়।’