নামেই ৫০ শয্যার হাসপাতাল
আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোয় সংকটের শেষ নেই। অধিকাংশ হাসপাতালে আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি নেই। আবার কোথাও যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান। সংশ্লিষ্ট জনবলের অভাবে বিকল হয়ে আছে অনেক যন্ত্রপাতি। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। করোনার কারণে চিকিৎসা খাতের দুরবস্থার চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল দৈনিক আমাদের সময়ের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে সাত বছর আগে। কিন্তু বাড়েনি সেবার মান। এর কারণ জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব। ৫০ শয্যা তো দূরের কথা, ৩১ শয্যার লোকবলই নেই এখানে। ফলে এখনো নামেই এটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ চিকিৎসা কর্মকর্তা থাকার কথা ২৬ জন। বর্তমানে ১৯টি পদই শূন্য। ফলে মানুষকে ছোটখাটো সমস্যার জন্যও যেতে হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা মানহীন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এতে ভোগান্তিও বাড়ছে রোগীদের। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় সঠিক চাহিদার ভিত্তিতে মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করা উচিত। স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। মানুষের এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বাস্থ্যের মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনসাধারণের জন্য মানসম্মত চিকিৎসাসেবা যেন নিছক প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শুধু বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নয়, অনেক হাসপাতালেরই চিত্র এমন। তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে জনসাধারণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন।